ঈদের মাংস: ৮ পরামর্শ








সামনে কোরবানির ঈদ। মাংস তো খাওয়া পড়বেই। কিন্তু লাল মাংস, অর্থাৎ গরু বা খাসির মাংস ওজনাধিক্য ব্যক্তি, বয়স্ক মানুষ, হৃদ্রোগী, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খারাপ। তাই বলে কি একটুও খাবেন না? তাহলে জানা থাকা চাই কীভাবে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে মাংস খাওয়া যায়।

উচ্চ তাপে দীর্ঘ সময় ধরে মাংস রান্না করলে এতে পলিসাইক্লিক হাইড্রোকার্বন ও হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইন-জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়। তাই আমরা সচরাচর যে পদ্ধতিতে মাংস রান্না করি, তা খুব একটা ভালো নয়। তার ওপর লাল মাংসের মধ্যে এমনিতেই চর্বির পরিমাণ অনেক। তাই বেশি করে তেল-মসলা দিয়ে ভুনা বা রেজালা তৈরি করলে তাতে তেল-চর্বির পরিমাণ আরও বাড়ে। সে কারণে মাংস স্টু, গ্রিল বা বাষ্পের সাহায্যে রান্না করা ভালো।

মাংসের মধ্যে দৃশ্যমান চর্বির পুরোটাই ফেলে দিন। টুকরাগুলো খুব পাতলা করবেন, যাতে বেশি সময় ধরে রান্না করতে না হয়। কিমা করলে মাংসের চর্বির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। তাই কাবাব বানিয়ে খাওয়া ভালো। তবে অধিক তাপে পোড়ানো হয়, এমন কাবাব ভালো নয়।

টক দই, অলিভ অয়েল, লেবুর রস, রসুন বাটা, পেঁপে বাটা দিয়ে মেরিনেট করে রাখলে মাংসের ক্ষতিকর চর্বির প্রভাব কমে। তা ছাড়া এতে রান্নার সময়ও কম লাগে। ফলে অধিক তাপের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যায়। কম তেলে রান্না করা যায় এমন খাবার, যেমন হালকা তেলে ব্রাশ করে নিয়ে শিক কাবাব, শামি কাবাব, তেলবিহীন কোল্ড বিফ ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডুবো তেলে ভাজতে যাবেন না।

color: white; color: #222222;"> font-family: "solaimanlipi" , "arial" , "vrinda" , "fallbackbengalifont" , "helvetica" , sans-serif; font-size: 16px; line-height: 24px;">যাঁদের হৃদ্রোগ বা রক্তে চর্বি বেশি, তাঁরা মগজ, হাড়ের ভেতরের মজ্জা বা পায়া, নলি ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে চর্বির পরিমাণ বেশি।

ঈদের সময় মাংস বেশি খাওয়া পড়ে বলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। তাই প্রতি বেলায় খাদ্যতালিকায় যথেষ্ট সবজি ও সালাদ রাখুন। অন্যান্য আইটেম থাকলে মাংস খাওয়ার পরিমাণও কমবে। এক বেলা মাংস খেলে অন্য বেলা বরং হালকা কিছু খান।

কাবাব বা মাংসের তৈরি ভাজা আইটেমে তেল বেশি মনে হলে খাওয়ার আগে টাওয়েল ন্যাপকিন দিয়ে মুড়ে বাড়তি তেলটা শুষে নিতে পারেন।

মাংস অবশ্য আমিষ ও লৌহের চমৎকার উৎস। সপ্তাহে এক দিন মাংস খাওয়াটা খারাপ কিছু নয়। তবে এর ক্ষতিকর দিকটি হচ্ছে চর্বি। তাই চর্বি ফেলে দিয়ে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে মাংস খেলে সমস্যা নেই। তারপরও নিজের খাবার সীমা বুঝে খান।

ঈদের সময়টাতে খাওয়া হবে বেশি। এই বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন একটু হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন। কায়িক শ্রম করুন। এতে করে অতিরিক্ত ক্যালরির অনেকটাই পোড়াতে পারবেন।

Comments

Popular posts from this blog

Plain Rice Pollaw | Bengali Pollaw Recipe

Beef Kacchi Biriany | Gorur kacchi | গরুর কাচ্চি বিরিয়ানি

Nargisi kofta / kabab